নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহরের জিমখানা সিএনজি অটো স্ট্যান্ড সমিতির সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ও তারই ভাগিনা সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জিমখানা সিএনজি স্ট্যান্ডের গাড়ি চালক গাজি মারফত সহ একাধিক শ্রমিক এ অঅিযোগ করেন।
গাজী মারফত বলেন, আমি ৩০ বছর যাবত নারায়ণগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ রোডে সিএনজি চালাই। আমাদের জিমখানা স্ট্যান্ডের জন্য সিএনজি চালক শ্রমিকদের কল্যান তহবিল গঠন করা হয়েছে। যাতে করে এই সংগঠন থেকে সকল শ্রমিকরা সুযোগ সুবিদা ভোগ করতে পারে। কিন্তু শ্রমিকরা এই ৩০ বছরে কোন সুযোগ সুবিদা পায়নি। তিনি বলেন, কেননা আমাদের সংগঠনের এই কল্যান তহবিলে যা টাকা উঠেছে মমতাজ উদ্দিন ও তারা সাঙ্গ পাঙ্গরা মিলে খেয়ে ফেলে। শ্রমিকদের কোন উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করেননি। আমাদের এই স্ট্যান্ডে প্রায় ২০০ সিএনজি গাড়ি ড্রাইভাররা কল্যান তহবিলের জন্য প্রতিদিন ১০ টাকা করে চাদাঁ দেন। যা দৈনিক ২ হাজার করে উঠে এবং মাসে ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন হয়। এক বছরে আসে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ৩০ বছরে আমাদের সংগঠনের টাকা ২১ কোটি বেশি টাকা উঠলেও এখন তিনি বলেন কোন টাকা নেই। এই ভাবে তিনি সব মিলিয়ে শ্রমিকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা তার নিকট হিসেব চাইলে তিনি কোন হিসেব দেন না। হিসেব চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহান করেন। তার এই অপকর্মে মমতাজের নাতি ফরহাদ, কামাল, মুরাদ সহযোগিতা করেন। তাদের শ্যাল্টার দেন খোকা। সিএনজি চালক হারুন বলেন, আমরা টাকা আত্মসাৎ কারীদের জিমখানা সিএনজি স্ট্যান্ডে কমিটি হিসেবে চাই না। তাদেরকে যেন কোন ভাবেই কমিটি দেয়া না হয়। তাদের কমিটি দেয় হলে তারা আবারো আমাদের মত নিরীহ শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে খাবে। আমরা নতুন কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে পরিচালিত হতেই চাই।
মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমার নামে অভিযোগ গুলো বেশির ভাগ ভুয়া। শ্রমিকদের নিকট কল্যান তহবিলের টাকার হিসাব দেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি হিসেব দিব কেন। আমাদের ক্যাশিয়ার হিসেব দিবেন।